বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ১২

"উপন্যাস" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Ruhul Amin Raj (০ পয়েন্ট)

X ☯☯ ৫. জিনিসটা যখন বাঁধানো ঘাটে এসে উঠল তখন একটা মানুষের আকার ধারন করল। কিছুটা গুঁজো হয়ে উঠেবসল ঘাটের সিঁড়িতে। তারপর মিসির আলির দিকে তাকিয়ে ভাঙ্গা ভাঙ্গা শ্লেষ মিশানো কণ্ঠে ডাকল- মিসির সাহেব আমি এসেছি, আমার নাম ইউসুফ, আমি ইউনুসের বড় ভাই!! মিসির আলি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর ধীর শান্তপায়ে ঘাটলার দিকে এগিয়ে গেলেন। ইউসুফ দুই পা ভাঁজ করে কাঙালের মত দুই হাত জড় করে বসল। তার থেকে ঠিকদশ ফুট দূরে বসলেন মিসির আলি। তার চোখে তখনো বিস্ময়। দুজনই বৃষ্টিতে ভিজচ্ছেন। মিসির আলি ইউসুফের দিকে তাকালেন, অন্ধকারে ঠাহর করতে পারলেন না ঠিক মত। তবে যতটুকু দরকার ততটুকু দেখে নিয়েছেন মিসির আলি। লোকটির পরনে শত ছিন্ন একটা লুঙ্গি আর পুরা শরীর খালি। মিসির আলির ও কি হেলুসিনেশা হচ্ছে? তিনি আজ সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজেছেন-জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে তাই হেলুসিনেশান হওয়া স্বাভাবিক, তারমানে তিনিও কি ইউনুস সাহেবের বাবা, সেই রাজমিস্ত্রি আর মাদ্রাসা শিক্ষকের পরিনতি বরন করতে যাচ্ছেন? মিসির আলি মনকে স্থির করলেন। তারপর বললেন- ইউসুফ সাহেব, আপনার কোন অস্তিত্ব নেই, আপনি আমার কল্পনা মাত্র। ইউসুফ ঘোঁত ঘোঁত স্বরে হেসে উঠল- বলল তাহলে আমাকে ছুয়ে দেখেন আপনি! মিসির আলি বললেন- আমার খুব সম্ভব হেলুসিনেশানহচ্ছে, তবুও আমি আপনাকে ছোঁব না। কারন এই সময় মানুষঅনেক কিছু অনুভব করে যার অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। তবে আমি আমার যুক্তি দিয়ে প্রমান করব আপনি আমার কল্পনামাত্র। ইউসুফ আবার ঘোঁত ঘোঁত করে হেসে উঠল।একটা হাত নিয়ে ঘাটলার সিঁড়িতে ঘষতে লাগলো। তারপর বলল- জী আপনে শুরু করেন। মিসির আলি বললেন- প্রথমত আমার ধারনা আপনাকে কোন ডাকাত খুন করে নি, আর আপনি কোন রাস্তায় খুন হননি আপনি খুন হয়েছেন এই বাগান বাড়িতে! আমি কি ঠিক বললাম? ইউসুফ কোন কথা বলল না- মনে হল সে শুরুতেই ভ্যাবাচ্যাকা খেল। তারপর আমার ধারনা- আপনার বাবা নিছক পানিতে পড়ে মারা যান নি বরং তিনি খুন হয়েছেন, সেই সাথে সেই রাজমিস্ত্রি, স্কুলের শিক্ষক এবং সেই হতভাগা মসজিদের ইমাম সবাই এই বাড়িতেই একে একে খুন হয়েছে। ইউসুফ বললেন- হ্যাঁ, আমিই সবাইকে খুন করেছি, আমার বাবা আমার অস্তিত্ব টের পায় তাই তাকে খুন করেছি, মসজিদের ইমাম বুঝতে পারে যেবাবা খুন হয়েছেন তাই ওকেও খুন করেছি, স্কুলের শিক্ষক সেও আমার উপস্থিতি পায় তাই তাকেও আমি সরিয়ে দিয়েছি, আর সেই রাজমিস্ত্রি যে কিনা একসময় বুঝতে পারে যে আমি এই পুকুরেই বাস করি তাই তাকেও খুন করেছি!! যে যে আমার অস্তিত্ব টের পাবে তাদের সবাইকে আমি খুন করব। আমি একা থাকতে চাই, আমি মৃত্যুর পর শান্তিতে থাকতে চাই। মিসির আলি একটু ভয় পেয়ে গেলেন, তবুও প্রকাশ করলেন না। তিনি জানেন শত্রু যদি তার দুর্বলতা টের পায় তাহলে সে মানসিক ভাবে শক্তিশালি হয়ে যাবে। মিসির আলি একটু হেসে বললেন- খুব ভাল, আপনি আপনার বাবাকে খুন করেছেন ভাল কথা, তাহলে আপানার ছোট ভাইকে খুনকরেন নি কেন? বরং তাকে আপনি নিজে থেকেই দেখা দিয়েছিলেন। মিসির আলির এই কথার তিরে ইউসুফ একটু অসহায় হয়ে গেল বুঝতে পারলেন মিসির আলি। তিনি হেসে বললেন- আপনি তো তাকে কখনই খুন করতে পারবেন না ইউসুফ সাহেব। কারনটা কি জানেন? ইউসুফ কিছু বলল না, ঠায় মিসির আলির দিকে তাকিয়ে আছে, চোখ দুটো জ্বলছে ভাটার মত,এক অমানুষিক ক্রোধ চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসছে ইউসুফের।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৮২ জন


এ জাতীয় গল্প

→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ১৪
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ১৩
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ৯
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ১০
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ১১
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ৮
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ৭
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ৬
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ৫
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ৪
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ৩
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ২
→ সাবধান মিসির আলী পৃষ্টা ১

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now